শিশুদের সৃজনশীল প্রতিভা বিকাশের যথাযথ সুযোগ সৃষ্টির পথ প্রসারিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী কাজ করে আসছে। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীন এই জাতীয় প্রতিষ্ঠানটি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় ৬৪টি জেলা অফিস ও ৬টি উপজেলা অফিসের মাধ্যমে গত তিন বছরে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়িত হয়। এ সকল কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রায় পাঁচ লক্ষ শিশু অংশগ্রহণের সুবিধা পায়। প্রতি বছর ২৯ টি বিষয়ে উপজেলা পর্যায় থেকে শুরু করে জাতীয় পর্যায়ে জাতীয় শিশু পুরস্কার ও দলগত ৪টি বিষয়ে মৌসুমী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর প্রায় ৭৫হাজার অধিক শিশু এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। প্রায় (৭০০) সাতশত শিশুকে সঙ্গীত, নৃত্য, চিত্রাংকন, আবৃত্তিসহ মোট ৪টি বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়। বছরে প্রায় ৩০০০ জন শিশু লাইব্রেরীতে বই পড়ার সুযোগ লাভ করে। শিশুর প্রারম্ভিক যতœ ও বিকাশের সমন্বিত নীতি ২০১৩ অনুমোদিত হয়েছে। বিত্তবান পরিবারের শিশুদের জন্য যেমন শিশু একাডেমীর কার্যক্রম আছে, তেমনি সুবিধাবঞ্চিত দুঃস্থ শিশুদের জন্যও রয়েছে যুগোপযোগী ও বাস্তবভিত্তিক কর্মসূচি। মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এর অধীনে রাজশাহীতে ১টি শিশু বিকাশ কেন্দ্রের মাধ্যমে ১৩০ জন দুঃস্থ ও অসহায় শিশুকে সামাজিক সম্পৃক্ততাসহ শিশু অধিকার নিশ্চিত করার জন্য সার্বক্ষণিক সুবিধা প্রদান করা হয়ে থাকে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস